অজানা এক প্রেম:
MORE POST--SHAYARI
রাশিদুল পড়াশুনায় খুব ভালো ছেলে । পরিবারে মা ছাড়া আর কেউ নেই ।বাড়ির অবস্থা ও সেই ভালো নয়।
মানে কোনো রকম সংসার চলে।আর তার মাঝেই চলে পড়াশোনা।
এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর তুলে বিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকার করলো।
রেজাল্ট বেরোনোর কয়েক মাস পরেই ভর্তি হাওয়ার পালা।কিন্তু কোন স্কুল এ ভর্তি হবে সে ।ভালো করে পড়াশোনা করতে হলে ভালো স্কুল এ পড়তে হবে কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবে।সেই নিয়েই খুব চিন্তা।কি করবে ভেবে পাচ্ছিলনা ।
এমন সময় তার বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক তার কাছে এলেন ও তাকে জিজ্ঞেস করলো কোন স্কল এ ভর্তি হবে।
তখন রাশিদুল সব কথা বললো ।এই সব শুনে মাষ্টারমশাই এর তার ওপর মায়া হলো।
এবং তাকে কলকাতার এক নামি স্কুল এ ভর্তি করে দিলো।
কলকাতার জীবন:
কলকাতায় পড়াশোনা করতে গিয়ে ।প্রথম স্কুল গিয়ে দেখে সেই পরিবেশে তাকে মানাচ্ছেনা সবাই তাকে অহঙ্কারের চোখে দেখছিল।সবাই তাকে দেখে হাসছিল।
সেই দেখে সে ভাবতে লাগলো শহরের পরিবেশে তাকে মানবেনা তারা তো গরীব শহরে সব বড়লোক।এই ভাবে দুই সপ্তাহ কেটে গেলো কেউ তার সাথে কথা বলে না।
সবাই তাকে নিয়ে উপহাস করতে থাকে।
হটাৎ একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাশিদুল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল ।তার যখন চোখ খুললো দেখলো অজানা এক বাড়িতে সে আছে ।সবাই তার চার বেয়ে বসে আছে ।
আর সব থেকে তার নজরে পড়ল একটার মেয়ের দিকে মেয়েটার চোখে মুখে চিন্তার ভাব। কার জন্য চিন্তা করছে ভাবলো রাশিদুল।
তারপর সবাই তাকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি ঠিক আছো
রাশিদুল বলল হ্যাঁ আমি ঠিক আছি কিন্তু এটা কোথায় আমি এলামি বা কি করে এইখানে।
তখন কেউ একজন বলে উঠলো - রিমি তোমাকে নিয়ে এসেছে রাস্তায় তুমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলে।
তখন রাশিদুল ভাবতে থাকে রিমি কে ।আমার কোনো ফ্রেন্ড নেই।কেউ তো আমার সাথে মেলামেশা করে না।
তার পরেই শুরু হলো জিজ্ঞেস এর পালা।কথাই বাড়ি কি করতে এসেছো।আরও না না প্রশনও।
হটাৎ রাশিদুল জিজ্ঞেস করলো রিমি কে----
প্রথম দেখা :---
তার রিমির সাথে দেখা হলো তখন রাশিদুল ভাবলো তার জন্ম এর চোখে মুখে চিন্তার ভাব ছিলো ।তারপর রাত্রের খাবার খেয়ে রাশিদুল নিজের হোস্টেল এ চলে গেলো।
রবিবার এর দিন রাশিদুল একাই ঘুরতে গেল ।ভাবলো দেখি এই সহুরে জীবন কেমন হয়।কিছু ক্ষন ঘোড়ার পর রাশিদুল একটা গাছ তলায় বসলো।
তার পর কিছুক্ষনের মধ্যে সেই মেয়েটার ছবির তার চোখের সামনে ভেসে উঠল।
সে ভাবলো সপ্ন হয় তো কিন্তু না এটা সত্যি।
রিমি তার কাছে এলো এবং বললো কেমন আছেন এখন।
রাশিদুল বলল ভালো।রিমি বললো আপনার নাম টা কি ।
রাশিদুল ইসলাম বললো রাশিদুল।
এই ভাবে কিছু খন কথা বলার পর রিমি ফ্রেন্ড এর হাত বাড়িয়ে দিল।
এই ভাবে তাদের মেলা মেসা বাড়তে লাগলো ।রিমি তাদের বাড়িতে রাশিদুল কে অনেক বার নিয়ে গিয়েছে।রাশিদুল সব কথা খুলে বলতে লাগলো রিমি কে
কেউ তার সাথে মেসে না সেকথাও বললো।
তারা খুব গরীব সে কোথায় বলল।
রিমি ছিলো খুব ভালো মেয়ে সে তাকে সব কিছু তেই সাহায্য করতো ।এই ভাবে তাদের মেলামেশা গভীর হয়ে গেলো ।রিমি ভালোবেসে ফেললো রাশিদুল কে ।কিন্তু রাশিদুল রিমি কে একজন ভালো ফ্রেন্ড ভাবত কারণ রাশিদুল চাই সে পড়াশোনা করে ভালো চাকরি করে নিজের মা কে খুশি দেখতে। আর রাশিদুল সেই লোক্ষের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল।আর সেটা রিমি ভালো করেই জানত তাই রিমি তার ভালো বাসা নিজের মধ্যেই চেপে রেখে ছিলো।।
রাশিদুল ছিলো সাধারণ পরকিতির ছেলে রিমি তাকে styles করে তুলে রিমি তাকে শপিং মল নিয়ে গিয়ে নতুন নতুন পোশাক কিনে দেই । রাশিদুল রিমি কে ফ্রেন্ড হিসেবে খুব ভালোবাসত। তার হাতে খাবার খেত । রিমিই তার ভালো মন্দ পছন্দ করতো।
দেখতে দেখতে বছরএর পর বছর কেটে গেলো রাশিদুল পড়াশোনা complete করলো ।এবার বাড়ি যাওয়ার পালা ।কিন্তু তার কয়েকদিন আগেই ঘটলো ঘটনা।
রাশিদুল একটা মেয়ের প্রেম এ পড়ে গেলো রাশিদুল রিমি কে সব কথা খুলে বললো।
রিমি টা শুনে খুব দুঃখ পেলো এবং বললো আমি বলে দেব ওকে ।সে কথা শুনে রাশিদুল রিমি কে জড়িয়ে এ ধরলো ।
রিমি কে জড়িয়ে ধরার পর রাশিদুল এর ভাব অন্য রকম লাগলো। একটু লজ্জা বোধ করলো। রিমি পরের দিন সকালে সেই মেয়ে তাকে বলল ।মেয়েটার নাম লিপি।
মেয়েটা উত্তরে বললো হ্যা ।রিমি খুব ভেঙে পড়লো।রিমি দুজনের সাথে মেলা মেসা করলো এবং বাড়ি চলে গেলো।
রাশিদুল এবং লিপি খুব খুশি ছিলো ।অনেক দিন হয়েগেলো তার মাকে খুব মনে পড়ছিল তখন রাশিদুল এর চোখে কান্নার অভ্যাস তখন লিপি রাশিদুল এর কাছে এলো এবং জিজ্ঞেস করলো কি হয়ে তুমি কাদঁছো কেনো তখন রাশিদুল তাকে জড়িয়ে ধরল ।
কিন্তু তখন রাশিদুল এর মনে হলো এই দুঃখ লিপি কে share করেও সেই দুঃখ যাচ্ছে না।
যদি এই দুঃখ সে রিমি কে share করতো সেই দুঃখ নিমেষেই উড়ে যেত।
তখন রাশিদুল বুঝতে পারল সে লিপি কে ভালোবাসলেও তার মন অন্য কাউকে ভালোবাসে আর সেটা হচ্ছে রিমি।
তখন রাশিদুল তাড়াতাড়ি রিমির বাড়ি গেলো ।দেখলো রিমি একাই চুপ করে বসে তার ও রাশিদুল এর ছবী দেখছে আর কাদছে আর একটা ছবিতে লিখা রয়েছে I LOVE 💕 YOU BUT I MISS YOU RASIDUL।
তখন রাশিদুল বুঝতে পারে শুধু আমার মন ই না রিমির মন ও আমাকে ভালো বাসে।
তারপর রাশিদুল একটা কাপোর নিয়ে রিমির পিছন দিকে যাই আর রিমির চোখ কে বেধে ফেলে ।রিমি ভয়ে চেঁচাতে থাকে ।রিমি কে একটা ঘরে নিয়ে যায় রাশিদুল তারপর রিমির চোখ খুলে এবং বলে I LOVE 😘 YOU ।
রিমি রাশিদুল এর মুখ থেকে এ কথা শুনে খুব খুশি হয় এবং বলে এত দিনে তুই বুঝলি পাগল। I LOVE 😘 YOU 2
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন